নেপথ্যে বেসরকারি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ব্যবসায়িক স্বার্থ সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্যাডেটদের বাণিজ্যিক জাহাজে কাজ বন্ধ
সরকারি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটদের বাণিজ্যিক
জাহাজে চাকরির অনুমতিপত্র—সিডিসি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তবে
বেসরকারি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের স্বল্পকালীন কোর্স করা ক্যাডেটদের তা দেওয়া
হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা বেসরকারি মেরিটাইম (সমুদ্র পরিবহনবিষয়ক বিদ্যা) প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোকে ব্যবসায়িক সুবিধা দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর। এতে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির (এমএফএ) ক্যাডেটদের তিন বছরের স্নাতক ডিগ্রি মূল্যহীন হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার বাইরে চলাচলকারী জাহাজের নাবিকদের সরকারি সনদের প্রয়োজন হয়। একে সিডিসি (কনটিনিউয়াস ডিসচার্জ সার্টিফিকেট) বলে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর এই সনদ দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর এমএফএ ক্যাডেটদের ২৬তম ব্যাচ (২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষ) থেকে সিডিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৭তম ব্যাচও সিডিসি পায়। ২০০৯ সালের ৯ নভেম্বর এমএফএ ও বেসরকারি প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে পাস করা ক্যাডেটদের সিডিসি দেওয়া স্থগিত করা হয়। পরে ম্যানিং এজেন্টদের (জাহাজে জনবল নিয়োগসংক্রান্ত সংস্থা) দাবির মুখে বেসরকারি প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে পাস করা ক্যাডেটদের সিডিসি দেওয়া শুরু করে। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান এমএফএ থেকে পাস করা ক্যাডেটদের সিডিসি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। যদিও ৩০ ও ৩১ ব্যাচের এমএফএ ক্যাডেটদের ভর্তি-নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ক্যাডেটরা পাস করার পর সিডিসি পাবেন।
কয়েকজন এমএফএ ক্যাডেট প্রথম আলোকে বলেন, একাডেমি থেকে তাঁরা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, নটিক্যাল সায়েন্স ও মেরিন ফিশারিজের ওপর তিন বছরের স্নাতক ডিগ্রি পান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের এই সনদ দেয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিবাদে এমএফএ ক্যাডেটরা আন্দোলন শুরু করেন। একপর্যায়ে গত জুন থেকে তাঁরা ক্লাস বর্জন শুরু করেন। এখনো সেটা অব্যাহত আছে।
একাডেমির ২৭তম ব্যাচের ক্যাডেট মো. আবু সাদাত প্রথম আলোকে বলেন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন আর সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর নৌ মন্ত্রণালয়ের অধীন। সিডিসি দেওয়া বন্ধ করা হলে এমএফএ ক্যাডেটরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের কাছে ধরনা দেন। মন্ত্রীরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনো এর সুরাহা হয়নি।
ক্যাডেটদের অভিযোগ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক সুবিধা দিতে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর এমএফএর ব্যাপারে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা যায়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলেছে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত কয়েকটি ম্যানিং এজেন্ট। প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জড়িত আছেন অধিদপ্তরের কয়েকজন সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: মেরিটাইম ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), বাংলাদেশ মেরিটাইম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (বিএমটিআই), ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেরিটাইম টেকনোলজি (আইআইএমটি) এবং মাস মেরিটাইম একাডেমি।
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের একটি বাণিজ্যিক ভবনের চারতলায় এমআইএসটির কার্যালয়। অপ্রশস্ত গলিপথ দিয়ে প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ঢুকতে হয়। তিন-চারটি কক্ষ নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান। একটি শ্রেণীকক্ষে ১০-১৫টি চেয়ার। শ্রেণীকক্ষসংলগ্ন অপর কক্ষে টেবিলের ওপর তিনটি কম্পিউটার। পুরো প্রতিষ্ঠানে একজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীর দেখা পাওয়া যায়।
প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে মো. আইয়ুব মিয়া বলেন, ছয় মাসের কোর্স এবং সিডিসি পাওয়ার জন্য মোট খরচ হবে ৯ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রশিক্ষণকেন্দ্রটি গড়ে তুলেছে ম্যানিং এজেন্ট বাংলাদেশ সি-ফ্যারার্স ডট কম। এর অধ্যক্ষ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের সাবেক মহাব্যবস্থাপক শাব্বির আহমেদ চৌধুরী এবং প্রধান প্রকৌশলবিষয়ক উপদেষ্টা সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবদুল মালেক।
আইআইএমটি কার্যালয় গ্রিন রোডে। এর অধ্যক্ষ সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এ কে এম আহসানুল আজিম। রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে বাংলাদেশ মেরিটাইম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (বিএমটিআই) প্রতিষ্ঠা করেছে হক অ্যান্ড সন্স নামে অপর এক ম্যানিং এজেন্ট ।
মাস মেরিটাইম একাডেমি চট্টগ্রামে। ফোনে যোগাযোগ করা হলে এর কোর্স-সমন্বয়ক পরিচয়ে সাঈদ খান বলেন, এক বছরের কোর্স সম্পন্ন করে সিডিসিসহ জাহাজে নিয়োগ পেতে খরচ হবে ১০ লাখ টাকা। এটি গড়ে তুলেছে ম্যানিং এজেন্ট মেরিন এজেন্সি সার্ভিসেস।
যোগাযোগ করা হলে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর জোবায়ের আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মেরিন একাডেমির ক্যাডেটদের স্বল্পতা দেখা দেওয়ায় ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটদের সাময়িকভাবে সিডিসি দেওয়া হয়েছিল। মেরিন একাডেমির আসনসংখ্যা বাড়ানোয় ক্যাডেট-স্বল্পতা কেটে গেছে। তিনি বলেন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন। ওই মন্ত্রণালয়কেই তাঁদের সমস্যা নিষ্পত্তি করতে হবে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জোবায়ের আহমেদ বলেন, ওগুলোর পাঠ্যক্রম আইএমও (ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন) থেকে অনুমোদনকৃত। জাহাজে চাকরি দেওয়ার নিশ্চয়তা দেয় বলে অধিদপ্তর এদের অনুমোদন দিয়েছে
অভিযোগ রয়েছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা বেসরকারি মেরিটাইম (সমুদ্র পরিবহনবিষয়ক বিদ্যা) প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোকে ব্যবসায়িক সুবিধা দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর। এতে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির (এমএফএ) ক্যাডেটদের তিন বছরের স্নাতক ডিগ্রি মূল্যহীন হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার বাইরে চলাচলকারী জাহাজের নাবিকদের সরকারি সনদের প্রয়োজন হয়। একে সিডিসি (কনটিনিউয়াস ডিসচার্জ সার্টিফিকেট) বলে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর এই সনদ দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর এমএফএ ক্যাডেটদের ২৬তম ব্যাচ (২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষ) থেকে সিডিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৭তম ব্যাচও সিডিসি পায়। ২০০৯ সালের ৯ নভেম্বর এমএফএ ও বেসরকারি প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে পাস করা ক্যাডেটদের সিডিসি দেওয়া স্থগিত করা হয়। পরে ম্যানিং এজেন্টদের (জাহাজে জনবল নিয়োগসংক্রান্ত সংস্থা) দাবির মুখে বেসরকারি প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে পাস করা ক্যাডেটদের সিডিসি দেওয়া শুরু করে। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান এমএফএ থেকে পাস করা ক্যাডেটদের সিডিসি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। যদিও ৩০ ও ৩১ ব্যাচের এমএফএ ক্যাডেটদের ভর্তি-নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ক্যাডেটরা পাস করার পর সিডিসি পাবেন।
কয়েকজন এমএফএ ক্যাডেট প্রথম আলোকে বলেন, একাডেমি থেকে তাঁরা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, নটিক্যাল সায়েন্স ও মেরিন ফিশারিজের ওপর তিন বছরের স্নাতক ডিগ্রি পান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের এই সনদ দেয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিবাদে এমএফএ ক্যাডেটরা আন্দোলন শুরু করেন। একপর্যায়ে গত জুন থেকে তাঁরা ক্লাস বর্জন শুরু করেন। এখনো সেটা অব্যাহত আছে।
একাডেমির ২৭তম ব্যাচের ক্যাডেট মো. আবু সাদাত প্রথম আলোকে বলেন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন আর সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর নৌ মন্ত্রণালয়ের অধীন। সিডিসি দেওয়া বন্ধ করা হলে এমএফএ ক্যাডেটরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের কাছে ধরনা দেন। মন্ত্রীরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনো এর সুরাহা হয়নি।
ক্যাডেটদের অভিযোগ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক সুবিধা দিতে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর এমএফএর ব্যাপারে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা যায়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলেছে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত কয়েকটি ম্যানিং এজেন্ট। প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জড়িত আছেন অধিদপ্তরের কয়েকজন সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: মেরিটাইম ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), বাংলাদেশ মেরিটাইম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (বিএমটিআই), ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেরিটাইম টেকনোলজি (আইআইএমটি) এবং মাস মেরিটাইম একাডেমি।
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের একটি বাণিজ্যিক ভবনের চারতলায় এমআইএসটির কার্যালয়। অপ্রশস্ত গলিপথ দিয়ে প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ঢুকতে হয়। তিন-চারটি কক্ষ নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান। একটি শ্রেণীকক্ষে ১০-১৫টি চেয়ার। শ্রেণীকক্ষসংলগ্ন অপর কক্ষে টেবিলের ওপর তিনটি কম্পিউটার। পুরো প্রতিষ্ঠানে একজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীর দেখা পাওয়া যায়।
প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে মো. আইয়ুব মিয়া বলেন, ছয় মাসের কোর্স এবং সিডিসি পাওয়ার জন্য মোট খরচ হবে ৯ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রশিক্ষণকেন্দ্রটি গড়ে তুলেছে ম্যানিং এজেন্ট বাংলাদেশ সি-ফ্যারার্স ডট কম। এর অধ্যক্ষ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের সাবেক মহাব্যবস্থাপক শাব্বির আহমেদ চৌধুরী এবং প্রধান প্রকৌশলবিষয়ক উপদেষ্টা সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবদুল মালেক।
আইআইএমটি কার্যালয় গ্রিন রোডে। এর অধ্যক্ষ সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এ কে এম আহসানুল আজিম। রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে বাংলাদেশ মেরিটাইম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (বিএমটিআই) প্রতিষ্ঠা করেছে হক অ্যান্ড সন্স নামে অপর এক ম্যানিং এজেন্ট ।
মাস মেরিটাইম একাডেমি চট্টগ্রামে। ফোনে যোগাযোগ করা হলে এর কোর্স-সমন্বয়ক পরিচয়ে সাঈদ খান বলেন, এক বছরের কোর্স সম্পন্ন করে সিডিসিসহ জাহাজে নিয়োগ পেতে খরচ হবে ১০ লাখ টাকা। এটি গড়ে তুলেছে ম্যানিং এজেন্ট মেরিন এজেন্সি সার্ভিসেস।
যোগাযোগ করা হলে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর জোবায়ের আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মেরিন একাডেমির ক্যাডেটদের স্বল্পতা দেখা দেওয়ায় ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটদের সাময়িকভাবে সিডিসি দেওয়া হয়েছিল। মেরিন একাডেমির আসনসংখ্যা বাড়ানোয় ক্যাডেট-স্বল্পতা কেটে গেছে। তিনি বলেন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন। ওই মন্ত্রণালয়কেই তাঁদের সমস্যা নিষ্পত্তি করতে হবে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জোবায়ের আহমেদ বলেন, ওগুলোর পাঠ্যক্রম আইএমও (ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন) থেকে অনুমোদনকৃত। জাহাজে চাকরি দেওয়ার নিশ্চয়তা দেয় বলে অধিদপ্তর এদের অনুমোদন দিয়েছে
No comments:
Post a Comment